Thursday, June 4, 2009

মন্তব্য

বিরাট পোস্ট। পোস্টখানা হান্টার সাহেব যে উদ্দেশ্যে দি ইন্ডিয়ান মুসলিমস লিখেছিলেন সে উদ্দেশ্যে সেই দৃষ্টিকোন হতেই লেখা তাতে কোন সন্দেহ নাই।

আপনি বহুবিবাহকে ধর্মীয় আদলে বিকৃত যৌনাচার বলে উল্লেখ করেছেন। তবে আপনার দেয়া তথ্যে সুলেমানের যে হাজার খানেক বউ এবং দাসের কথা উল্লেখ করেছেন তা যদি নিছক শোনা কথা হয়ে থাকে তাহলে তো এ নিয়ে বিতর্কের কোন দরকার নাই। আর যদি সত্য হয়ে থাকে তবে এটাই সঠিক পদ্ধতি হওয়া উচিত। কেননা আরবের রীতিই ছিল বহু বিবাহ। সত্তর আশি বছরের আয়ু নিয়ে আসা ননমুসলিম আরবগন প্রায় হাজার খানেক স্ত্রী রাখতেন। আর হাজার বছর আয়ু নিয়ে সুলেমান শখানেক বিয়ে করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পশ্চিমাগন যাদের মত করে আপনার পোস্ট তারা তো বিয়ে ছাড়াই প্রতি রাতে একজনকে নিয়ে বিছানায় যেতে পছন্দ করে। সেখানে রাসূলুল্লাহ (সা) এর উপর চারজন স্ত্রী কে হালাল করে আল্লাহ এত বেশি মাত্রায় বিয়ে করাকে হারাম করেছেন। এবং দেনমোহর (যা কিনা স্ত্রী নিজেই যত ইচ্ছা তত দাবী করতে এবং বিয়ের আগেই তা পরিশোধিত হিসেবে পেতে হয়) পদ্ধতি আগের ইচ্ছামত বিবাহের ধারাকে রোধ করেছে।

স্ত্রী ও দাসীর মধ্যে একটা সামান্য পার্থক্য রয়েছে। তা হল স্ত্রীকে দেনমোহর দেয়া হয় আর দাসীর মালিকানা এর পূর্ব মালিককে দাম পরিশোধের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছে, এবং এর বিলুপ্তি ঘটিয়েছি আমরা মুসলমানরাই, দাসমুক্তির অনুশীলনের মাধ্যমে যা কিনা আমাদের ধর্মীয় আদেশ ছিল। তার বহু বছর পরও আমেরিকা, ইংল্যেন্ড এবং ফ্রান্স দাসপ্রথাকে জিইয়ে রেখেছিল। এবং তাদের সে সকল অমানুষিক কাহিনী আমরা সবাই জানি।

সূফীবাদ নামে আজকাল উল্টোপাল্টা সংজ্ঞায়ন হয়ে থাকে। সূফিবাদ এসেছে মুসলমানদের মদীনায় হিজরতের সময় হতে। যে সকল মুহাজির মসজিদে নববীর পাশে সূফফায় (খেজুরের পাতা দিয়ে কোন মতে বানানো ঘর) থাকতেন তাঁদের বলা হত "আসহাবে সূফফা" বা সূফী। বাংলাদেশে যারা ইসলাম প্রচারের জন্য এসে এরকম দরিদ্র অবস্থায় থেকে দাওয়াতী কার্যক্রম চালিয়েছেন, তাঁদের বলা হত সূফী। আধ্যাত্নিকতার সাথে ইসলামের সম্পর্ক যতটুকু ততটুকুই সম্পর্ক তাঁদের ছিল।

হাজী শরিয়তউল্লাহ, সৈয়দ আহমেদ বেরেলভীর সংগ্রামকে আপনি সময়োযগী ছিলনা বলে মন্তব্য করলেন। অথচ ব্রিটিষ বিরোধী আন্দোলনে তাঁদের অবদান এত বেশি ছিল যে, তাঁদের হঠাতে ব্রিটিষরা প্রায় কাবু হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা সীমান্তে ও সারাদেশে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আর হিন্দুগন বিশেষ করে শিখগন স্বাধীনতা বিরোধী কাজে ব্রিটিষদের সহায়তা করেছিল। বিশেষ করে সৈয়দ বেরেলভীর নের্তৃত্ব এতটাই প্রভাব সৃষ্টি করেছে এ উপমহাদেশে, এরকম প্রতিরোধের সামনে আর যেন পড়তে না হয় তাই হান্টার সাহেবগন গবেষনা করে "দি ইন্ডিয়ান মুসলিমস" নামক গ্রন্থটি দুই খন্ডে প্রকাশ করেছিলেন।

বাংলাদেশে আগ্রাসনকারী পাকিস্তানী, ইরাকে আমেরিকানগন, কাশ্মীরে হিন্দুরা যুদ্ধে হাতের কাছে পাওয়া নারীদের ধর্ষন করেছে।

মুসলিমগন তাঁদের বিজিতদের কন্যাদের বিবাহের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও সম্মান দান করেছে।

আমেরিকার মত দেশে তাঁদের নারীগন একা অন্ধকারে হাটতে সক্ষম নয়। তাঁদের সভ্য পুরুষরা কিছুতেই একা পাওয়া নারীর স্বাদ ভোগ করা ত্যাগ করতে আগ্রহী হয়না। এমনকি সেখানে বাপের হাতে কন্যার এবং ভাইয়ের হাতে বোনের ধর্ষিত হবারও নজির রয়েছে।

অপরদিকে রাসূল (সা) এমন একটি সমাজ উপহার দিয়েছিলেন, যেমনটি তিনি ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন যে, একজন নারী তার বাহন নিয়ে নিশ্চিন্তে সান'আ হতে হাদরামাউত পর্যন্ত ভ্রমন করতে পারবে।

No comments: