Sunday, February 22, 2009

সমর্থ লোকেরা তাদের সন্তানদের পাবলিক ভার্সিটিতে পড়তে পাঠাবে না

সমর্থ লোকেরা তাদের সন্তানদের পাবলিক ভার্সিটিতে পড়তে পাঠাবে না

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:০৫

শেয়ার করুন: Facebook

পাবলিক ভার্সিটিগুলোর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ধীরে ধীরে আওয়ামী দলীয়করন হয়ে যাচ্ছে। আর তাদেরকে দলের ছাত্রকর্মীরা হল ও ক্যম্পাস দখল করে নিচ্ছে। সব পাবলিক ভার্সিটিতেই নৈরাজ্য বেড়ে চলেছে। এই অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পাবলিক ভার্সিটিগুলো হবে শুধু আওয়ামী কর্মী আর তাদের সমর্থকদের ভার্সিটি। এই কারনে অনেক অভিভাবকই তাদের ভার্সিটি অ্যাডমিশন নিতে যাওয়া সন্তানকে আর পাবলিক ভার্সিটিতে পাঠাতে সাহস করছে না। যারা নিতান্তই অসমর্থ অথবা বিপুল সহ্যশক্তির অধিকারী তারাই হয়তো আগামী বছরগুলোতে পাবলিক ভার্সিটিতে পড়তে যাবে।

গত কয়দিনের কিছু ঘটনা বলি। আমার দুই বন্ধু জিপিএ ৫ পেয়ে যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করেছে তারপরও তারা এ আই ইউ বি তে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কোথাও ভর্তি পরীক্ষা দেয়নি। তাদের বাবা মার মতে পাবলিক ইউনিভার্সিটি তাঁদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ নয়। উল্লেখ্য এই দু বন্ধুর একজন আমাদের এলাকার আওয়ামী নেতার আপন ভাতিজা। এবং তার পুরো পরিবারই আওয়ামী সাপোর্টার।

এক সপ্তাহ আগে এক মার্কেটে কোন এক কাজে গিয়েছিলাম, হঠাৎ এক লোক পেছন থেকে আমাকে ডাকল। তাঁকে আমি চিনিনা, তবে তিনি আমাকে চেনেন। তো আমাকে তিনি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোর ব্যপারে বিভিন্ন প্রশ্ন করলেন। তিনি জানালেন তিনি তাঁর ছেলেকে কোন এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী। অথচ তাঁর ছেলে এখনো নটরডেম কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ে। তিনিও তাঁর ছেলের নিরাপত্তার ব্যাপারটা মাথায় রেখেই আগে থেকেই খোজখবর চালাচ্ছেন।

আমার বড় মামা, আওয়ামী লীগের প্রচন্ড ভক্ত। তাঁর ছেলে এবার ঢাকা কমার্স কলেজে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছে। মামারা ফেনী থাকেন বলে তাঁর সন্তানের দেখাশোনা আমাকেই করতে হয়, আমিই তার লোকাল গার্ডিয়ান (যদিও আমি আমার মামাত ভাইয়ের চেয়ে দুবছরের বড়)। তো আমার মামাও এখনই তাঁর ছেলের নিরাপত্তার হুমকির কথা ভেবে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেই তাঁর ছেলেকে ভর্তি করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

No comments: