Saturday, October 4, 2008

ধরা খেয়েছে বর্বররা, আর জিতে গেল গনতন্ত্র

বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতা ত্যাগ করার পরদিন থেকেই বাংলাদেশে এক চরম নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ঢাকায় রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে কমুনিস্ট- আওয়ামী বর্বর ১৪ দলীয় জোট বেশ কয়েকটা মানুষকে হত্যা করল। শুধু ঢাকাতেই নয় সারাদেশে এই অবস্থা বিরাজ করেছে। সারাদেশে বেশ অনেকেই নিহত হয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমুনিস্ট মনোভাবাপন্ন বিভিন্ন দলের কর্মীরা।
তারপর চলল দিনের পর দিন অবরোধ। তাও করল এরাই। এক সময় ঘোসনা এল বঙ্গভবন অবরোধ। সেখানে অক্সিজেন পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোসনা এল। এই অবস্ঘায় সরকার দিশ না খুঁজে পেয়ে জরুরী অবস্থা ঘোষনা করল। তত্ত্বধায়ক সরকারের উপদেষ্টাগন পরিবর্তিত হলো।

এই চরম অগনতান্ত্রিক অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি তখন পাওয়া গেলেও পুরোপুরি মুক্ত হওয়া গেলনা সেই পুরাতন শক্তির বিভিন্ন উস্কানীতে হওয়া আন্দোলনের কারনে। কিন্তু সর্বোপরি এরা কিন্তু সফল হয়নি কোন কাজেই। এর মধ্যে কিছু উপদেষ্টা পরিবর্তিত হলো। নতুন আসা উপদেষ্টাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে কমুনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত। তো এরা ক্ষমতায় এসেই তাদের পুরোনো অযৌক্তিক ইচ্ছাগুলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইল। বলা যায় একাজ করার জন্য তারা আসল কাজই ভুলে গেল। আর পুরোনোরাও এদের সমর্থনে ছিল। ভেবেছিল যাক একটা সুযোগ পাওয়া গেছে, এবার সব ইচ্ছা পুরন করে ফেলব। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো তাদের এ ইচ্ছা গুলো শুধুই তাদের নিজের ইচ্ছা। তাদের সাথে হাতে গোনা কিছু শিক্ষার মোড়কে পোরা অশিক্ষিত লোক। এদের সাথে নাই সাধারণ মানুষের কোন যোগাযোগ। তাদের কথাকে সাধারণ কোন মানুষই সমর্থন করে না। তারপরও তারা তাদের ইচ্ছা পুরনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠল। এদের ইচ্ছাগুলো ছিল ১. ইসলামি দল নিষদ্ধ করা। ২. যুদ্ধাপরাধী বিচার. ৩. নারীর সমঅধিকার।

এরা নিজেদের মিডিয়াকে এজন্য রান্নাঘরের আশেপাশে চুরির আশায় থাকা কুকুরের মত লেলিয়ে দিয়েছে। বড় বড় সেমিনার করেছে। দেশি বিদেশি কুটনিতিক ব্যবহার করেছে। তার ওপর সরকারী ক্ষমতাকে ব্যবহার করেছে।

কিন্তু তারপরও তারা সফল হয়নি। তাদের মুখগুলো ধরা পড়ে যাওয়া চোরের মত এখনও টিভিতে দেখা যায়।
এদের ব্যার্থতার কারন:
১. কোন দাবীই তাদের যৌক্তিক ছিল না।
২. এদের কোন কাজে সাধারণ জনগনের সমর্থন ছিল না।
৩. একসাথে সব পেতে চেয়েছিল।
৪. বাংলাদেশের মানুষের ইসলামী চেতনায় চরম আঘাত হানতে চেষ্টা করেছিল।

গনতন্ত্র যেভাবে জয়ী হলো:
১. তাদের প্রত্যেক ইস্যুর বিরুদ্ধেই দেশের সাধারন পেশাজীবিগন বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের সাথে ছিল কয়েকজন হাতে গোনা মানুষ।
২. সাধারণ মানুষ এই ইস্যুগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি বরং এরাই মিডিয়াকে খারাপভাবে ব্যবহার করেছে।
৩. বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই আল্লাহভীরু, আর এরা নাস্তিক। নাস্তিককে কখনোই সাধারণ মানুষ নের্তৃত্বের আসন দেয়না।

ইসলামী দল বন্ধ করে দেয়ার ব্যপারে যখন মাতামাতি উঠল তখন মানুষজন কিছু বলেনি কারন তাঁরা জানে যে এটা এই কমুনিস্টদের অতিকল্পনামাত্র। দুদিন বাদে ঘোর কেটে যাবে। পরে যখন যুদ্ধাপরাধী ইস্যু আসল তখনও আমরা অনেকটা চুপচাপই থাকলাম। আমাদেরকে চুপচাপ দেখে এরা ভাবল এবার নতুন আরেকটা ইস্যু উঠাই। তা হলো নারী সমঅধিকার। এবার তাদের আঘাত এল সরাসরি ইসলামের উপর । এবার আর মানুষজন আর চুপ থাকল না। গর্জে উঠল সমস্বরে। আন্দোলনের জোয়ারে সরকার বাধ্য হলো নারী নীতিমালা স্থগিত করতে। যেখানে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র শিক্ষকদের জরুরি বিধিমালা লংঘনের কারনে অনেক হেনস্তা হতে হয়েছ, সেখানে মুসলিম আন্দোলন কারীরা বহাল তবিয়তে অবস্থান করছেন। এর কারন অন্য কিছু নয়, এখানে সারা দেশের মানূষ আলেমদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। এখানেই গনতন্ত্রের জয় প্রমানীত হলো। গনতন্ত্র কত শক্তিশালি তা এখানে এই জরুরি অবস্থায় অবরুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ প্রমানিত করল। আর ভেসে গেল কমুনিস্ট স্বৈরাচারী শক্তি।


এই কমুনিস্টরা আজ বিমর্ষ চিত্তে বিবৃতি দিয়েছে যে, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুর দিক থেকে নজর সরিয়ে নেয়ার জন্যই নাকি নারীনীতি বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে।

হতভাগারা এখনও বুঝল না। বুঝবেও না কখনো। কারন আল্লাহতো এদের কান বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশে গনতন্ত্র এখন্ও আছে থাকবে আজীবন।

No comments: