Thursday, October 9, 2008

পেঁচার আধুনিক সংস্করণ আমেরিকা, এই পেঁচাকে নিয়ে একটা গল্প....

একদা এক বনে পাখিদের একটা বৈঠক বসেছে। সব গন্যমান্য পাখি উপস্থিত। টিয়া পাখি থেকে শুরু করে টুনটুনি, হামিং বার্ড পর্যন্ত হাযির। এ বৈঠকে পেঁচাও এসে যোগ দিয়েছে। পেঁচা দেখতে ভয়ংকর আবার কাজকর্মও ভয়ংকর। কেউ তাকে দেখতে পারেনা।
যাহোক, ঈগল পাখির সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়েছে। ঈগল দেখল টিয়া পাখি, কাকাতুয়া পাখি সহ অনেকেই কেমন যেন সন্ত্রস্ত এবং বিরক্ত হয়ে আছে। তো সভাপতি হিসেবে সংলাপ সফল করতে তাদরেকে তাদের সমস্যা দাখিল করার নির্দেশ দিলেন।

তখন পাখিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলল, " হুজুর, এ বৈঠক থেকে সবচেয়ে বিচ্ছিরি, কুৎসিত পাখিটাকে তাড়িয়ে দিন।"

আবেদন শেষ হতে না হতেই সভার এক কোন হতে আওয়াজ এল, "হুজুর বলে দিন, কাকে সভা থেকে তাড়িয়ে দেব?"

সবাই একযোগে তাকিয়ে দেখে আওয়াজটা পেঁচাই করেছে।

আধুনিক এ সভ্যতায়ও একটা বাস্তব পেঁচা বর্তমান। সে হল আমেরিকা। এরা দাবী করে এরা এক বীর জাতি। তারা, বীরের মত যুদ্ধ করে রেড ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে আমেরিকা দখল করেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষি, এরা কুকুরের মত গনহত্যা করে রেড ইন্ডিয়ানদের মেরে আমেরিকায় তাদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে। ঔপনেবশিক আমেরিকানরা ছিল আধুনিক অস্ত্রে পরিপূর্ন আর রেড ইন্ডিয়ানরা সম্পুর্ন নিরস্ত্র।

আমেরিকানরা গত একশ বছর ধরে বিভিন্ন দেশের অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ি। তারা ইরান ইরাকের যুদ্ধ বাধাতে সাহায্য করেছে, ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মদদ করেছে। বিশ্বযুদ্ধে পারমানবিক বোমা ব্যবহার করেছে।
ইরাক দখল করার জন্য এখন পর্যন্ত যুদ্ধ চলছে, আফগানিস্তান দখল করে তাঁবেদার সরকার গঠন করেছে। ইরাণে যুদ্ধ করার জন্য পা উচিয়ে রেখেছে। ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য তথা এক মহা মরণ তান্ডব চালানোর জন্য একটা আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছিল, যদিও তা সফল হয়নি। এরকম আরো অনেক কিছু। এখনও সারাবিশ্বে তারা দৌরাত্ন দেখিয়ে চলে।

আবার প্রায়ই দেখা যায় আমেরিকার অনেক মানবাধিকার সংস্থা রয়েছে। তারা প্রায়ই বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। মজার ব্যাপার এই যে তারা মানবাধিকার লংঘনের দায়ে ইরাকে যুদ্ধ করেছিল। গত কয়েকদিন আগে এই জন্য কলিন পাওয়েল দু:খ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশেও তাদের অনেক মানবাধিকার সংস্থা কাজ করছে। তারা প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে থাকে ।

এখন কারো কি মনে হয় যে, মানবাধিকার লংঘনকারী আমেরিকা মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করার উপযোগি? আমি প্রথম গল্পটার সাথে আমেরিকার অবস্থানের অনেক মিল পাই। বর্তমানে সব দেশ যদি মানবাধিকার লংঘনকারি দেশের বিরুদ্ধে লাগে, তবে আমেরিকা বলবে আমার সৈন্যরা তোমাদেরকে সাহায্য করবে। তাই তোমাদের দেশে আমি একটা করে ঘাটি তৈরী করব। আর এরা মানবাধিকার রক্ষা করবে।

No comments: