Friday, October 31, 2008

আরেকটা ২৮শে অক্টোবর অবতারনার চেষ্টা

ঘটনার শুরু বেশ খানিকটা আগে থেকে। আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটা মামলার আসামী আওয়ামী লীগের এক পোষা সন্ত্রাসীকে (আলাউদ্দিন) ইদানিং বেশ দেখা যাচ্ছে। সে জরুরী অবস্থা আসার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে ছিল। তারপর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে তাকে তাবলিগ জামাতের লোকজনে সাথে মিশতে দেখা যাচ্ছিল। তারউপর সে তার চেহারায় নতুনত্ব এনেছে দাড়ি দিয়ে। আগে গার্মেন্টসে চাকরি করত আর মাস্তানী করে বেড়াত। এখন অনেকটা ভদ্র দেখা যাচ্ছিল, নিয়মিত মসজিদে আসত।

২৮শে অক্টোবরের ঘৃণ্য নরহত্যার প্রতিবাদে পোস্টারিং করেছে আমার ওয়ার্ডের শিবিরের সভাপতি এবং আরো তিনজন। পোস্টারিং করতে করতে একসময় ফজরের আযান দিল তার কিছুক্ষন পর দেখা হল সেই ভদ্রতার আবরনের সন্ত্রাসীর সাথে। একলা ছিল বলে সে তেমন কিছু বলল না তবে ওদের নাম জিজ্ঞেস করল এবং জাহিদ ভাই(ওয়ার্ড সভাপতি) তার উত্তর দিয়েছেন সুন্দরভাবেই যেমনটি একজন ইংরেজীতে অনার্স পড়ুয়া ছেলে জবাব দেয়ার কথা। এটা আমি তার কাছেই শুনেছি।

আজ সন্ধায় মসজিদ থেকে মাগরিব নামাজ পড়ে বেরুলাম। জাহিদ ভাইও আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছেন। হঠাৎ ঐ কুত্তাটা মসজিদ থেকে বেরিয়ে জাহিদ ভাইকে ধরে একটা গলীতে নিয়ে গেল। আমাদের কয়েকজন ফ্রেন্ডও তা দেখে তার সাহয্যে এগিয়ে গেলাম। কুত্তাটা উল্টা পাল্টা ঘেউ ঘেউ করল তাকে ঠেলে ভদ্রভাবেই সরিয়ে দিলাম সেও ক্ষানিক্ষন ঘেউ ঘেউ করে চলে গেল।

তারপরও কুকুরেরতো কোন বিশ্বাস নাই তাই জাহিদ ভাইকে এগিয়ে বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে গেলাম। হঠাৎই দেখি ঐ কুত্তাগুলা তার সাগরেদদের দল নিয়ে দৌড়ে আসল। এসেই জাহিদ ভাইয়ের উপর চড়াও হল। কুত্তাগুলার হাত থেকে তাঁকে সরিয়ে নিলাম এবং আমি জাহিদ ভাইকে দ্রুত বাসায় পৌছে দিলাম।

আজকের ঘটনাটা ঠিক সেই ২৮শে অক্টোবরের মতোই। কুত্তাগুলা সেদিনের মতোই কোন কারন ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে আসল এবং তান্ডব চালানোর চেষ্টা করল। তবে একটা জিনিস বুঝলাম না কুত্তাগুলার গায়ে নাই কোন শক্তি অথচ গলার জোরের কমতি নাই। আর আমি এদের এত ধাক্কালাম আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই আটদশজনকে আটকালাম অথচ তারপরও এরা কিছুই করতে পারল না। জানি এরা আবারও আসবে দলবল ভারী করে কেননা এটাই যে এদের স্বভাব।

একটা প্রশ্ন এই মূর্খদের কি যোগ্যতা আছে একজন ইউনিভার্সিটিতে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রের গায়ে হাত তোলার?

আর কতদিন এভাবে আওয়ামী সন্ত্রাস সহ্য করতে হবে?

No comments: