Saturday, October 4, 2008

যে কারনে আমি সংশয়হীন...

সেদিন একজনের পোষ্ট দেখলাম, তিনি নাস্তিকতার স্বপক্ষে কিছু কথা লিখেছিলেন। নাস্তিকতার পেছনে তিনি ভাল যুক্তি দিয়েছিলেন। নাস্তিকতার ব্যাপারে সবচেয়ে পরিষ্কার হয়েছি যখন তিনি নাস্তিকদেরকে সম্মান করে সংশয়বাদী বলেছেন। তার কথার আমার কিছু নিজস্ব জবাব :

১."তিনি বলেছিলেন, সবকিছুর স্রষ্টা যখন আল্লাহ তবে আল্লাহর স্রষ্টা কে?"

***প্রথমত নাস্তিকতার প্রথম শিক্ষা হল কোন কিছুরই কোন স্রষ্টা নেই। তবে দুনিয়ার এতসব জিনিষ কোথা থেকে এল?

সব কিছু যদি এমনিই সৃষ্টি হয় তবে, আমাদের সামনে এমনি এমনি কোন কিছু সৃষ্টি হতে দেখিনা কেন?

বিজ্ঞান বলে সব নাকি ন্যাচারাল সবকিছুরই ব্যাখ্যা আছে। আবার অনেক আধুনিকতা বাদীদের কথায় বিজ্ঞান ইসলামকে অসত্য প্রমানীত করে।

এখন কেউকি আছেন যিনি বলতে পারবেন ন্যাচারটা সৃষ্টি করল কে?

ইতিহাস সাক্ষ্যি বিজ্ঞানের চর্চা খ্রীস্টানদের কাছে অকাম্য ছিল। ইসলামের শুরু থেকেই ইসলাম আর বিজ্ঞান এক স্বত্ত্বায় মিশে আছে।আর খ্রীস্টানদের বিজ্ঞান চর্চা মুসলমানদের প্রেরনায় পাওয়া।

উদাহরণ, গত শতাব্দিতে আবিষ্কৃত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার বিশেষ করে ভ্রূনবিদ্যা, বিগ ব্যাংয়ের আধুনিক তত্ত্বের মত অনেক তত্ত্ব মুসলিমগন নির্ভূল ভাবে বিশ্বাস করেছেন গত ১৪০০ বছর ধরে।

বিজ্ঞান বলে প্রত্যেক আঘাতের একটি প্রতিঘাত রয়েছে, এবং কোন বল প্রয়োগ না করলে কোন বস্তুর অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়না। তবে কোন শক্তি ছাড়াই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কি করে বিশ্বাসযোগ্য হয়?

প্রথমে যে প্রশ্ন করেছেন তার জবাবের শেষ অংশ:
যেহেতু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছুই সৃষ্টি হয়না, তাই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই একজন রয়েছে। আর সেই সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আল্লাহ।
আর আল্লাহ যদি আমাদের সৃষ্টিকর্তা হন তবে কোরআনই আমাদের একমাত্র আদর্শ। আল কোরআনের মত আরেকটি নির্ভূল সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এ ঘোষনাই দেব। আর আমার অটল বিশ্বাস আর কোন গ্রন্থই সৃষ্টি কারো পক্ষে সম্ভব নয় যা ১৪০০ বছর তো দুরের কথা ১৪ মিনিট পরও নির্ভুল থাকতে পারবে। অবাক করার বিষয় আজ পর্যন্ত কেউ সাহসও করতে পারেনি আলকোরআনের সমান আরেকটি বই লিখতে।

আল কোরআনের সুরা ইখলাসে আল্লাহ ঘোষনা করেছেন তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন।

আল্লাহর সৃষ্টি সম্বন্ধে ভাবার মত জ্ঞান আমাদের নেই।
আর আমাদের জ্ঞানতো এমন নয় যে আমরা সবই জানি। বিখ্যাত এরিস্টটলের তত্ত্বগুলোও আজকের দিনে অপ্রয়োজনীয়।
সার্জারী বিদ্যায় একটা কথা বেশ প্রচলিত ছিল আজ থেকে ২০ বছর আগেও, তা হলো," ভালো সার্জন বড় করে কাটে।", বর্তমানে বলা হয় "বড় সার্জন ছোট করে কাটে।" পৃথিবী গোল এটা মানুষ বিশ্বাস করত না, ইত্যাদি।
অথচ এত বড় বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব আজকের দিনে অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু কোরআনের বানী আজও সমান ভাবে প্রয়োজনীয়। এতটুকু প্রয়োজনীয়তা হারায়নি। কিন্তু আজ ১৪০০ বছর পরও কোরআনের কোন বানী অমূলক বলে কেউ প্রমানীত করতে পারেনি।

তাই আমার কোন সংশয় নেই। কোন বুদ্ধিমান মুসলিমের তো অবশ্যই কোন অমুসলিমেরও সংশয় থাকার কথা নয়।

আমাদের প্রতি আল্লাহর প্রথম আদেশ পড়, পড়, পড়।
আমি আরো পড়তে চাই, জানতে চাই।

No comments: